ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মাতারবাড়ী-চালিয়াতলি সড়ক লণ্ডভণ্ড, চরম দূর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

moheshkhali-pic-1_1-1হারুনর রশিদ, মহেশখালী :

দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর; মাতারবাড়ী ইউনিয়নে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চালিয়াতলি-মাতারবাড়ী সড়কটি প্রবল বৃষ্টি ও সাগরের জোয়ারের পানির স্রোতে ৩টি অংশ ভেঙ্গে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধীকার প্রকল্প মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সড়ক পথে পৌছার একমাত্র মাধ্যম চালিয়াতলি মাতারবাড়ী সড়ক।

চলতি বছরের ৩০ শে মে সাইক্লোন মোরা’র তান্ডবে সড়কটির ভাঙ্গন শুরু হয়। দ্রুত সংস্কার না হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি এবং সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সড়কটি  ব্যাপক আকারে ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে ওই সড়ক দিয়ে গাড়ী চলা চল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প পথ হিসেবে নৌ-পথে চলাচল করছে জনসাধারণ। চরম দূর্ভোগের মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা দু’ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধীক মানুষ ।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর সদস্য সরওয়ার কামাল জানান- সড়কটি সংস্কারের সময় টেকসই না হওয়ার কারণে; সামান্য জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়। সড়কটির দু’পাশে গাইডওয়াল দিয়ে সংস্কার করলে টেকসই হবে।

রাজঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম উদ্দীন জানান চালিয়াতলি- মাতারবাড়ী সড়ক ছাড়াও মাতারবাড়ীর ভিতরের সড়কগুলো ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অতিবৃষ্টির কারণে মাতারবাড়ীতে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে বর্ষার মৌসূমের জন্য কৃষকের তৈরী করা বীজতলার ধানের চারা।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগড়েইল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ি মো: সেলিম উদ্দীন জানান- সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ মিনিটের রাস্তায় সময় লাগে ১ঘন্টা। এ অবস্থার থেকে পরিত্রাণ এর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগিরা।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নবির হোছাইন ভুট্টেুা জানান,  মাতারবাড়ী-ধলঘাটা দুই ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সড়কটি ভেঙ্গে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে; মালামাল আনা নেওয়ার  খরচ বেশি হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেশি নিচ্ছে ব্যবসায়িরা।

মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা দুই ইউনিয়নের জনসাধারণের প্রাণের দাবী; দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে জনচলাচলের উপযোগী করে তোলতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: